শেখ হাসিনার রায় ঘিরে কেমন থাকবে রাজনীতির মাঠ?

 


জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আসামি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল ও সাবেক আইজি আবদুল্লাহ আল মামুনের রায়ের দিন আগামী ১৭ নভেম্বর ধার্য করেছেন আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনাল গঠন হওয়ার পর এটি হবে প্রথম রায়।

চব্বিশের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে ঝটিকা মিছিলের চেষ্টায় ছিল কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। শেখ হাসিনার রায় ঘিরে প্রথমবারের মতো লকডাউনের ঘোষণা আসে। এরপর শুরু হয় চোরাগোপ্তা ককটেল হামলা আর আগুন দেয়ার ঘটনা।

বিশ্লেষকদের শঙ্কা, সামনের দিনগুলোয় দলটির এমন নাশকতার অপচেষ্টা আরও বাড়বে। পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে বিপুল অর্থ ব্যবহারের শঙ্কাও করছেন তারা।

রাজনীতি বিশ্লেষক আলতাফ পারভেজ বলেন, সামনের দিন এরকম কর্মসূচি আরও আসবে। আগুন, বাস পোড়ানো ও জনগণের জীবনযাত্রা ব্যহত হওয়ার যেন আমাদের কপালের লিখন হয়েই থাকলো। 

ইতিহাসবিদ ও বিশ্লেষক ড. মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, আওয়ামী লীগের অর্থ ও অস্ত্র রয়েছে। তাদের প্রায় ৮ হাজার নেতাকর্মীর অবৈধ অস্ত্র আছে। সেগুলো যে ব্যবহার হবে না, বিষয়টি এমন নয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ১৯৯৬ এবং ২০০৬ সালেও দলটির এমন সহিংস কর্মসূচি দেখা গেছে। এবারও সেই পথে হাঁটছে নৌকার নেতাকর্মীরা। এই পরিস্থিতি মোকাবেলা সরকারের দায়িত্ব। 

ড. মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, রাজপথে পিটিয়ে মানুষ মারার ঘটনা দেখেছি। আওয়ামী লীগের সাস্প্রতিক তৎপরতা আমাদের শঙ্কার মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। সেই অপতৎপরতা প্রতিহত করার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। সরকার এতে বিশেষ নজর দেবে বলে আশা করি।

এদিকে, শেখ হাসিনার মামলা ছাড়াও ট্রাইব্যুনালে আরও বেশ কয়েকটি মামলার বিচার প্রায় শেষের দিকে। এসব মামলার রায়ের পাশাপাশি ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জোর প্রস্তুতি চলছে। এতে সংকট ঘনীভূত হবার শঙ্কা বিশ্লেষকদের। 

আলতাফ পারভেজ বলেন, আগামীতেও আওয়ামী লীগ কর্মসূচি দেবে। অন্য দলগুলো তাতে বাধা দেবে। আবার নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতাও হবে।

প্রসঙ্গত, গণঅভ্যুত্থানের পর কার্যক্রম আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ করা হয়। পাশাপাশি দলের নিবন্ধনও স্থগিত করা হয়। নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে দলটির ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগও।

মন্তব্য করুন


Previous Post